ভিক্টর আলো ফেলতেই বিড়াল্ টি লেজ গুটিয়ে বসল। বিপদের গন্ধ পশু পাখিরা নাকি সবার আগে পায়। ভিক্টরের মনে হলো বিড়ালের ভয়ার্ত চোখ খারাপ কিছু ইঙ্গিত করছে। ভেতরে ঢোকা ঠিক হবেনা । ওরা এসেছে রাত কাটাতে। রহস্যের সন্ধান করতে গিয়ে শেষে সব কুল হারাতে হবে। ভিক্টর বলল, লিপন ভেতরে গিয়ে কাজ নেই। ওখানে আসলে কেউ নেই। সব মায়া। বিপদ আমাদের হাত …
Read More »Tag Archives: ভুতের গল্প
জমিদার বাড়ি (পর্ব-৩)
ডায়রি পড়া শেষ করে মঈনের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে ভিক্টর বলল, তোর কাছে কি মনে হয় ? মঈন বলল, গোবিন্দ কাঁপা কাঁপা হাতে শেষ শব্দটি লিখেছে চা। তার মানে তার মৃত্যু হয়েছে চা খেয়ে । “ আমারও তাই মনে হয়েছে । নওশি মেয়েটা তার মৃত্যুর জন্য দায়ি। আমি ঠিক করেছি এই মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নেব। তোরা কি আমার সাথে কেউ যাবি? …
Read More »জমিদার বাড়ি (পর্ব-২)
গোবিন্দ বলল, আপনি এতোক্ষন কোথায় ছিলেন? বিছানার ওপর পা তুলে বসতে বসতে নওশি বলল, পাশের কামরায় । বাবাকে খাওয়ানোর পর নিজেও কিছুটা খেলাম। তারপর টিফিন বাটি ধুয়ে মুছে আপনাদের জন্য চা বানালাম। আপনারা রঙ চা খান তো ? ” হ্যা খাই । আপনি কি আজ জমিদার বাড়িতেই থাকবেন ? ” হ্যা, আমি আজ নিজ চোখে দেখতে চাই রাতে এখানে কি …
Read More »জমিদার বাড়ি (পর্ব-১)
গোবিন্দ শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিল সে জমিদার বাড়িতে এক রাত থাকবে। জুয়েল কে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করিয়েছে । কিন্তু তীব্র আপত্তি জানিয়ে লিপন বলল , তোরা কি পাগল হয়েছিস? ঐ অভিশপ্ত জমিদার বাড়িতে একটা পাখি পর্যন্ত থাকেনা। ওখানে একবার রাত কাটালে জীবিত কেউ ফিরে আসে না। গোবিন্দ বলল, আমরা জীবিত থাকব । গ্রামের মানুষের কুসংস্কার দূর করে দেব। লিপন বলল, …
Read More »অদ্ভুত ভুতের গল্প
গভীর রাতে হঠাৎ ফোন বাজার শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। বিরক্তি নিয়ে চোখ বন্ধ করেই ফোনটা রিসিভ করলাম ওপাশে একজন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। কান্নার শব্দে আমার ঘুম পুরোপুরি কেটে গেলো আর আমি তাড়াতাড়ি উঠে ফোনটা চোখের সামনে ধরলাম। আমার বান্ধবী রেশমা ফোন করেছে কিন্তু ও এভাবে কাঁদছে কেনো? জানার জন্য জিঙ্গাসা করলাম, > এভাবে কাঁদছিস কেনো বলবি? বাড়িতে বকাবকি হয়েছে? …
Read More »কালো বিড়াল (শেষ পর্ব-৪)
ফজরের আযানের জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলো৷ আজানের ঠিক কয়েক মিনিট আগে জানালার উপর ধাম করে কি যেন একটা পড়ে এমন শব্দ হলো যেন জানালা ভেঙ্গে গেলো৷ এবং দুই তিন মিনিট পর গভীর নিস্তব্ধতা। পুরো বাড়ী যেন হালকা হয়ে গেলো৷ সাথে সবার গা ও হালকা হয়ে গেলো৷ সূর্য উঠতে চললো, চারিদিক কিছুটা আলোকিত হলো। লাভলী বেগম লাবন্যের মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে …
Read More »কালো বিড়াল (পর্ব-৩)
বিড়ালের লেজে কেমন যেন একটা ধারালো জিনিষ ছিলো যা দিয়ে নোমান সাহেবের হাত কেটে চিরচির করে রক্ত বের হতে লাগলো৷ সুরাইয়া দৌড়ে গিয়ে কটন হেক্সিসল এসব নিয়ে এসে নোমান সাহেবের হাতের পরিচর্যা করতে শুরু করলেন৷ এদিকে লাবন্যের আবারও কাঁপিয়ে খুব জ্বর আসলো৷ জ্বরের ঘোরে সে আবল তাবোল বকছে৷ দেখো দেখো আম্মু ওই যে দুইটা বাচ্চা কি সুন্দর করে খেলছে। আহারে …
Read More »কালো বিড়াল (পর্ব-২)
লাবন্য ভীষণ লক্ষি মেয়ে৷ সে জেঠিমার কথায় ফিরে যাচ্ছিলো, এমন সময় সে বিড়ালটা খুব জোরে মেয়াও বলে একটা চিতকার করে উঠলো। সে ভাবছে কি করবে। আবার পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে গাছ থেকে ধুম করে ভারি কালো কি যেন একটা কিছু পড়ে গেলো৷ সে ভেবেছে বিড়ালটা পড়ে গেছে৷ সে যেই না দৌড়ে যাবে, এমন সময় তার ফুফাতো বোন লাইলী লাবন্য আপু …
Read More »কালো বিড়াল (পর্ব-১)
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো৷ লাবন্য পুকুর ঘাটে বসে বর্সি দিয়ে মাছ ধরছিলো সেই দুপুর তিনটা থেকে৷ বেশ কিছু পুটি আর তেলাপিয়া মাছ ধরেছে৷ লাবন্যর বয়েস ১৩/১৪ তার সাথে আছে তার বড় ফুফাতো বোন লতা আর তারই কাছাকাছি বয়েসি চাচাতো ফুফাতো ভাইবোন ৩/৪ জন, আর আশ পাশের বাড়ীর কয়েকজন৷ বড় ঘর থেকে লাবন্যের জেঠি মা ডাকাডাকি করছে, সবাই ঘরে চলে …
Read More »লিভিং রুমে স্নেহা (শেষ পর্ব)
ফুয়াদের ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে যেতে হবে এ সপ্তাহে৷ উপায়ান্তর না দেখে বন্ধু ফয়সালকে কল দিয়ে বললো – দোস্ত, যে ভাবেই হোক আতর আলীকে আনার ব্যাবস্থা কর৷ আমি আর পারছি না৷ হসপিটালে থাকা কালীন শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া স্নেহার সাথে ভয় জনিত আর কোনো ঘটনাই ঘটেনি৷ চার পাঁচটা দিন বেশ ভালোই কাটিয়েছে স্নেহা৷ এ চার পাঁচ দিনে স্নেহা পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেছে৷ …
Read More »